কি কুক্ষণে শিখালে হে লীলাবতী, তৈলাক্ত বাঁশের অংক, আজকাল , তৈলাক্ত বংশ দণ্ড ছাড়া, আর কিছুই দেখি না। । সমগ্র মানচিত্র জুড়ে চকচকে বাঁশের মিছিল, সাদা, কালো - নানান পদের। এক পা উঠলে কিন্তু, তিন পা অবশ্য পতন।
জন্ম থেকে এক্রোফোবিয়ায় ভুগছি - উপরে উঠার ভয়। সিঁড়িতে বিশ্বাস নেই, যদি তৈলাক্ত বাঁশের মত, পিছলিয়ে নীচে পড়ে যাই। দুর থেকে পাহাড়ের শৃঙ্গ দেখি, বড় সাধ হয়, ধাপে ধাপে পাহাড়ের শৃঙ্গে যেতে, সকলের মত। সাধ হয়, বুক ভরে টেনে নিতে বিশুদ্ধ বাতাস, কিন্তু - অচিন খাঁচার মাঝে ভয় গুলো বাসা বাধে ক্যান্সারের মত।
গোলাপের চেয়ে কাঁটা বড় হয়ে উঠে; নদীর নির্মল জলে কুমির কুমির। বনভূমি বেড়ে উঠে শ্বাপদের মলিন থাবায়। জীবন যৌবন জুড়ে, প্রতি পদে মরণের ছায়া - যেন গুচ্ছ বোমা। রক্তিম গোলাপ বলে কিছু নেই, আছে শুধু রক্তের ফোয়ারা। বন্ধু বলে কিছু নেই, আছে শুধু ছদ্ম আততায়ী। যতই সাহস পাই, তত বেশী নিরাশার পঙ্কে ডুবে যাই; আলোকে আগুন ভেবে, ছুড়ে ফেলি সাগর নোনায়। মইয়ের ধাপ ছেড়ে, লাফ দেই সাপের মাথায়।
আহমেদ সাবের
রনীল, মোঃ শামছুল আরেফিন, বিন আরফান, খোরশেদুল আলম, মামুন ম.আজিজ – আপনাদের মন্তব্যে আপনারা কষ্টটা কবির কষ্ট হিসেবে ধরে নিয়েছেন। আসলে আমি এ কবিতায়, আমাদের সামগ্রিক সমাজের কষ্টটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। পারষ্পরিক অবিশ্বাস আর সন্দেহ আমাদেরকে দিনে দিনে নিরাশার পঙ্কে ডুবিয়ে দিচ্ছে। নদী, বন আর গোলাপে আমরা সৌন্দর্যের বদলে শুধু বিপদ খুঁজে পাই। এর কারণে আমরা আর আমরা এগুতে পারছি না – যদিও পাহাড়ের শৃঙ্গে যাওয়ার সাধ সবাইর আছে।
আহমেদ সাবের
দেখতে দেখতে আরেকটা মাস প্রায় শেষ হতে চললো। অন্য বারের তুলনায় একটা পরিবর্তন লক্ষণীয় – মন্তব্য শুধু “ভাল হয়েছে” তে সীমাবদ্ধ না থেকে, অনেকে অন্যের লেখার ভুল-ক্রুটি গুলো দেখিয়ে দিচ্ছেন। এটা শুভ লক্ষণ। এতে, আমার মতে, লেখকেরা লাভবান হবেন। সবাই যে এতে খুশী তা নয়; দু একজন লেখার সমালোচনার ব্যাপারে পাঠকদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কথা উঠিয়েছেন। তাদের মতে, ভাল লেখক না হলে, ভাল সমালোচক হওয়া যায় না। এ ব্যাপারে তাদের সাথে আমার দ্বিমত আছে। আমরা অনেকেই রাঁধতে পারি না। কিন্তু কোন খাবারটা ভাল হয়েছে, তা ঠিকই বুঝতে পারি। তবে, এখানে রুচির প্রশ্ন আছে। কারো হয়তো বিরিয়ানি ভাল লাগে, আবার অনেকে শুঁটকী ভর্তাতে তৃপ্তি পান। সুতরাং সব লেখা যে সবার ভাল লাগবে, তার কোন কথা নেই। লেখার গুন বিচারে আমি বর্তমান ভোট পদ্ধতির সমর্থক নই। অনেক ভাল লেখা এ পদ্ধতির মারপ্যাঁচে পড়ে যোগ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত গল্প-কবিতা কর্তৃপক্ষ উন্নততর কোন পদ্ধতি খুঁজে না পান, ততদিন এ নিয়ম না মেনে আমাদের গত্যন্তর নেই।
সূর্যসেন রায়
চাচা,বিজয়ী হওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।কবিতাটি এমনিতে বেশ ভাল লেগেছে ।তবে যা বলতে চাই তা হল এখন সবাই গদ্যকবিতা লেখেন ।কিন্তু তারা জানেই না গদ্যকবিতা শব্দে ভরে তুলতে হয় !জীবনানন্দের কবিতাই উত্তম উদাহরণ ।আসলে গদ্যকবিতায় সহজে সাহিত্যিক স্বৃকৃতি পায় না ।তবে আপনার কবিতায় বেশ কিছু পঙক্তি ভাল লেগেছে ।ধন্যবাদ....
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।